;

KGF Chapter 2

 





 মুভির নাম :- KGF Chapter 2


এইখানে মুভির একটা রিভিউ তুলে ধরা হয়রছে ।

মুভিটা সম্পর্কে একটা ধারণা দেয়ার জন্য । রিভিউটা পড়তে থাকুন ততক্ষনে অটোমেটিক ভাবে আপনাকে ডাওনলোড পেজে নিয়ে যাবে

_____________________________________________

প্রত্যেকটা মিনিট দেখার যোগ্য K.G.F Chapter 2 এর। ইমোশন, দুর্দান্ত একশন, অসাধারণ গল্প এবং পুরো সময়জুড়ে সাসপেন্স কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ কে অসাধারণ ফিল্মের কাতারে নিয়ে গেছে। অনেস্টলি আমি এখন অবধি কেজিএফ ২ কে এ বছরের বেস্ট বিবেচনা করছি।


  K.G.F Chapter 2 (2022)

   Imdb: 9.8/10


ইয়াশ, সঞ্জয় দত্ত, শ্রীনিদি শেট্টি, প্রকাশ রাজ প্রমুখ অভিনীত কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ ভারতের সবচেয়ে প্রতীক্ষমাণ ফিল্ম ছিলো। তুমুল পর্যায়ের হাইপ তোলা এ ফিল্ম প্রশান্ত নীল অসাধারণ দক্ষতায় পরিচালনা করেছেন। বক্স অফিস কালেকশনে যে ঝড় আসবে তা অনুমান করতে কষ্ট হয়না। ক্রিটিক্স রিভিউ, অডিয়েন্স রেটিং সবকিছুই দারুণ! 


 No spoiler... 


গল্প বলে দিয়ে এতোদিন ধরে অপেক্ষমাণ অডিয়েন্সের মজা নষ্ট করবোনা। সবাই তো জানেন রকি কেজিএফ দখলের পর আধিরা, এনায়েত খলিলসহ কতোগুলো চোখ ছিলো কেজিএফের দিকে। স্বভাবতই রকিকে নতুন সাম্রাজ্য সাজাতে হবে এবং সকল প্রতিকূলের বিরুদ্ধে লড়তে হবে...


 _*_


বাকি আলোচনাতেও কোনো স্পয়লার দেওয়ার চেষ্টা করবোনা। সবাই দেখুক, তারপরই না হয় স্পয়লারসহ আলোচনা করা যাবে। 


তো প্রথমেই আসি গল্পে। কারণ যেভাবে অপেক্ষায় ছিলো অডিয়েন্স সেখানে গল্প স্ট্রং না হলে সকল প্রত্যাশা নিভে যেতো। কিন্তু চ্যাপ্টার ২ এ গল্প এতোই ভালো লেগেছে যে একে ভারতীয় ফিল্মগুলোর ক্ষেত্রে অন্যতম সফল সিক্যুয়েল বলা যায়। প্রশান্ত নীল দারুণ করেছেন। আবারও বলছি, দারুণ কাজ করেছেন! যতোটুকু তার দায়িত্ব ছিলো, অর্থাৎ লেখা, গল্পকে ভালোভাবে উপস্থাপন এবং পরিচালনা সবক্ষেত্রেই প্রশান্ত নীল সফল। উনি যে পরিচালকের পাশাপাশি ভালো একজন লেখক তার প্রমাণ আবারও দিলেন।


ইয়াশ! চ্যাপ্টার ১ এর মতো আবারও মাতিয়ে রাখলেন পুরো সময়টা৷ আউটস্ট্যান্ডিং এক্টিং! তার এক্সপ্রেশন, লুক সবকিছু যেনো স্ক্রিন জুড়ে কথা বলেছে। সোয়াগ, একশন, এক্টিং প্রতিটি ক্ষেত্রে ইয়াশ অসাধারণ ছিলো। কেজিএফ ফিল্ম দু'টোয় যে কতোটা ডেডিকেটেড ছিলো ইয়াশ তা প্রত্যেকটা অডিয়েন্সই লক্ষ্য করবে। তার পুরষ্কার ও পাচ্ছেন ইয়াশ। কেজিএফ ফিল্ম তো সফলই সেই সাথে নিজের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে তেলে ফেলছেন! 


সঞ্জয় দত্তের অগ্নিপথ লুক,এক্টিং যারা দেখেছে তারা ভালোভাবেই জানে ভিলেন হিসেবে সঞ্জয় কেমন অভিনেতা। এন্ট্রি সিন এবং ব্রিজের একটা সিনে শুধু এক্সপ্রেশন দিয়েই যেনো অডিয়েন্সকে গুজবাম্প দিয়ে গেছেন ইনি! শ্রীনিদিকে প্রথম ফিল্মে ন্যাকামো ক্যারেক্টর মনে হলেও এই ফিল্মে দারুণ অভিনয় করেছেন এবং চরিত্রটিও ছিলো এবারে গোছানো, দায়িত্বশীল এক নারীর। রাভিনা টন্ডন ও বেশ পাওয়ারফুল ক্যারেক্টর ভালোভাবে প্লে করেছেন। পাঞ্জাবি পরা চ্যাপ্টার এক থেকেই রকির শুভাকাঙ্ক্ষী লোকটার নাম জানতে পারিনি তবে উনিও অসাধারণ অভিনয় করেছেন।


 প্রকাশ রাজ এবারে ন্যারেটরের ভূমিকায় আসেন। আনান্দের মতো উনিও ভালো অভিনয় করেছেন। যথাযথভাবে গল্পকে অডিয়েন্সের কাছে বর্ণনা করেছেন। 


এই ফিল্মের একটা মূহুর্ত বোরিং লাগেনি। প্রশান্ত নীল গল্পকে এতোটাই এনগেজড করে রেখেছেন। দারুণ সব একশন, পুরো ফিল্মজুড়ে উত্তেজনার আবহে প্রায় ঘন্টা তিনেকের এ ফিল্ম আরও এক ঘন্টা চললেও আপত্তি ছিলোনা। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে আমি নিশ্চিত প্রত্যেকে বুঁধ হয়ে থাকবে। ভিজ্যুয়াল আর সেট ডিজাইনিং, কালার গ্রেডিং এসব তো টিজার,ট্রেইলারে দেখলেনই। অর্থাৎ প্রত্যেকটা এস্পেক্ট হতে কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ আমার ভালো লেগেছে। এবার দেখি বক্স অফিসে কেমন তোলপাড় হয়!


 ব্যক্তিগত রেটিং: ১০/১০

___________________________________________________


0 Comments