মুভির নাম :- আয়নাবাজি
এইখানে মুভির একটা রিভিউ তুলে ধরা হয়রছে ।
মুভিটা সম্পর্কে একটা ধারণা দেয়ার জন্য । রিভিউটা পড়তে থাকুন ততক্ষনে অটোমেটিক ভাবে আপনাকে ডাওনলোড পেজে নিয়ে যাবে
_____________________________________________
#spoiler_Free
বলা হয়ে থাকে পৃথিবী একটি রঙ্গমঞ্চ আর আমরা সবাই অভিনেতা।সত্যিই তো, আমরা প্রতিনিয়তই অভিনয় করে যাচ্ছি কখনো নিজের সাথে কিংবা অন্যকারো সাথে।কখনী ভালো থাকার অভিনয় কিংবা কখনো কাউকে ভালো রাখার জন্য মিথ্যা অভিনয়।আমরা সবাই অভিনেতা।
২০১৬ সালে মুক্তি পায় অভিতাভ রেজা চৌধুরীর প্রথম ফিচার ফিল্ম,"আয়নাবাজি" প্রায় ১কোটি সত্তর লাখ টাকা ব্যায় করে মুভিটি প্রথম দু সপ্তাহে আয় করে নেয় প্রায়২.১৩ কোটি আর এখন অব্দি আয় ৫.১৩ কোটি টাকা আর অর্জন করে নেয় বাংলাদেশ এর বেশ কয়েকটি পুরষ্কার সহ ImDb দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেটেড মুভি।
ছবির কাস্ট নিয়ে বেশি কিছু বলবো না শুধু কয়েকটা নাম বলি।
চঞ্চল চৌধুরীঃ বাংলাদেশে যে কজ গুনী অভিনেতা আছেন তাদের মধ্যে যার নাম আর পাঁচটি নামের মধ্যে আসবে উনিই সেই লোক। অভিনেতার পাশাপাশি শিল্পী ও প্রভাষক। অভিনয় করেছেন মনপুরা,রুপকথার গল্প,দেবী ও আয়নাবাজী মুভিতে।
পার্থ বড়ুয়াঃ বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস এর সদস্য ও মিউজিক রচিয়েতা।মানুষটা দারুন গায় আর এত সুন্দর অভিনয় করে যে মুগ্ধ হতে বাধ্য।
এছাড়াও বৃন্দাবন দাস,নাবিলাসহ আরও অনেক গুনী শিল্পী অভিনয় করেছে।
কাহিনী সংক্ষেপঃ
শারাফাত করিম আয়না। এ শহরের খুব সাদাসিধে একজন মানুষ। তার নিজের মতে তিনি 'অত্যন্ত নিরীহ শ্রেণীর একজন ভীতু মানুষ'। কখনো থাকে সমুদ্রে আবার কখনো এই ঢাকা শহরের পুরনো একটা দালানের ছোট্ট একটি চিলেকোঠায়। জাহাজে বাবুর্চির চাকরি করে। কয়েক মাস পর পর যেতে হয় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। আবার ফিরে আসে। বাজার করে, কুষ্টিয়ায় থাকা মায়ের সাথে কথা বলতে বলতে রান্না করে, খায়-দায়-ঘুমায়। একটা ছোট্ট নাটকের স্কুল চালায়। অল্প কয়েকজন কিশোর-কিশোরিকে নিয়ে তার এই স্কুল। তাদেরকে রিহার্সাল করায় নিজেই। যে কটা দিন সমুদ্র থেকে দূরে এই শহরে থাকে সেকটা দিন এভাবেই কাটে আয়নার।
কিন্তু আয়না যখন আয়নায় তার চেহারা দেখে সে কি ঠিক এরকমটাই দেখতে পায়? নাকি তার প্রতিচ্ছবিটা তার কাছে ভিন্ন? কেন একজন ক্রাইম রিপোর্টার তার পেছনে লেগে থাকে। কেন সেই রিপোর্টার আর তার বলা সংলাপটা এরকম ; "এ শহরে আপনার মতো ক্রিমিনাল...",
"আর একটাও নাই। আমি আয়না একজনই।"
আয়নার আসল প্রতিচ্ছবিটা কেমন তাহলে?
আয়না ছিলো একজন অতী সাধারণ মানুষই। তার একটি গুণ ছিলো, সে খুব ভালো অভিনয় পারতো। ছোটবেলা থেকে মাকে যাত্রায় পাঠ করতে দেখে অভিনয় শেখে। একটা সময় তার মায়ের ক্যান্সার ধরা পরে। মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু কে দিতো আয়নাকে এতো টাকা? বাধ্য হয়ে আয়নাকে নামতে হয় এই আয়নাবাজির খেলায়।
নেগেটিভ দিকঃ
ছবিটি মুক্তির পর এর কাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ান চ্যাং সু (টাম্বলউইড) (২০১৩) চলচ্চিত্রের নকল বলে অভিযোগ ওঠে। লী ডাক-হী পরিচালিত ঐ ছবির প্রধান অভিনেতা ইম চ্যাং-জাং অপরাধীদের হয়ে জেল খেটে থাকে এবং একসময় সন ইউন-সিও নামে একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে। আয়নাবাজির সাথে ছবিটির থিমের এই আংশিক মিল দেখা যায়। তবে ছবিদুটি ভিন্ন ঘরানার এবং কাহিনীও পরস্পর সম্পর্কহীন।এ বিষয়ে চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখক ও ব্লগার নাজমুল হাসান দারাশিকো লিখেন, "আয়নাবাজি শতভাগ মৌলিক চলচ্চিত্র কিনা জানি না, অন্ততঃ এতটুকু জানি, এটি টাম্বলউইডের নকল নয়।" এছাড়া ছবির পোস্টারের সাথে অনেকে ভারতীয় চলচ্চিত্র রমন রাঘব ২.০ (২০১৬) পোস্টারের তুলনা করেন। আয়নাবাজি মুক্তির মাসদুয়েক পরে এক টিভি অনুষ্ঠানে বাণিজ্যিক ধারার চিত্রপরিচালক কাজী হায়াৎ ছবিটিকে "উদ্ভট সিনেমা" বলে অভিহিত করেন। তিনি মত দেন যে "সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়া উচিত ছিলো।" অনুষ্ঠানের আরেক অতিথি গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, "আয়নাবাজি সিনেমায় যে কাহিনী দেখানো হয়েছে বিশেষ করে ফাঁসির আসামিকে কিভাবে প্রদর্শন করতে হয় তা সেন্সর বোর্ডের বোঝা উচিত ছিলো।
আমার মতামতঃ
ক্রাইম থ্রিলার মুভি মুলত সব সিনেমা প্রেমিদেরই ভাল্লাগে।আর আমিও এর ব্যাতিক্রম নই।এই সিনেমার উপস্থাপনা, পুরনো ঢাকার সেই পরিবেশ,পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, আর, " যা দেখছো তা তা নয়,ধীরে ধীরে বও না সময় এর মত গান আর আব মিলিয়ে সত্যি বলতে দারুন উপভোগ একটা সিনেমা।এটা ২০১৬ সালেই দেখছিলাম কিন্তু তখন খুব ভালো একটা বুঝি নি তবে এখন যেহুতু ImDb এর কারণে আবার আলোচনায় তাই আর মিস করি নি।চাইলে আপনারা ও দেখতে পারেন। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন। তথ্যগুলো উইকপিডিয়া,গুগোল ও ফেসবুক থেকে নেয়া।
___________________________________________________এই পেজে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন তাহলে দেখবেন অটোমেটিক ভাবেই ডাওনলোড পেজে চলে যাবে পরে সেখান থেকে আপনার মুভিটি ডাওনলোড করে নিবেন
0 Comments